তাইওয়ানের বিজ্ঞানীরা এমন এক নতুন হেয়ার-গ্রোথ সেরাম তৈরি করেছেন, যা মাত্র ২০ দিনেই টাকের জায়গায় চুল গজাতে সক্ষম—ল্যাব পরীক্ষায় এমনই বিস্ময়কর ফল পাওয়া গেছে। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে তৈরি একটি টপিক্যাল সেরাম উদ্ভাবন করেছেন, যা স্কিনের ফ্যাট সেলকে উদ্দীপিত করে নতুন হেয়ার ফলিকল তৈরি করতে সাহায্য করে।
মাইসের টাক পড়া স্থানে এই সেরাম ব্যবহার করা হলে মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ লোম গজিয়ে যায়, যা ভবিষ্যতে মানুষের টাক পড়া ঠেকাতে বড় সমাধান হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিভাবে কাজ করে এই নতুন সেরাম?
এই সেরাম ত্বকে হালকা উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা—
✔ ঘুমিয়ে থাকা হেয়ার ফলিকলকে আবার সক্রিয় করে
✔ চুল গজানোর প্রক্রিয়া দ্রুত বাড়ায়
দ্য উইক এর মতে, গবেষক দলের সদস্য প্রফেসর সুং-জান লিন নিজেই তার পায়ে এই সেরাম পরীক্ষা করেন এবং মাত্র তিন সপ্তাহে দৃশ্যমান চুল গজানো লক্ষ্য করেন।
গবেষকদের দাবি, সেরামটি খুবই নরম, ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না এবং ভবিষ্যতে এটি বাজারে ওভার-দ্য-কাউন্টার পণ্য হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।
এখনই কি বল্ডনেসের চূড়ান্ত সমাধান? বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
যদিও ফলাফল আশাব্যঞ্জক, তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন—
এটি এখনো টাকের চূড়ান্ত চিকিৎসা হিসেবে নিশ্চিত নয়
মানুষের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাকি
নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব–সবই বিশদভাবে পরীক্ষা করতে হবে
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, গবেষকরা খুবই আশাবাদী হলেও তারা জোর দিচ্ছেন আরও বিস্তারিত পরীক্ষার ওপর।
তাইওয়ানি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এই নতুন সেরাম টাক পড়া প্রতিরোধে বড় সম্ভাবনার দোর খুলেছে। তবে মানুষের ওপর সফল পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এটি বাজারে আসছে না। তবুও মাত্র ২০ দিনে চুল গজানোর এমন ফলাফল বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
BN NEWS My WordPress Blog