আবারও ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের ফালামে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে। তবে বাংলাদেশের কক্সবাজার, পার্শ্ববর্তী পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এ ছাড়া, ভূমিকম্পের তথ্য প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) তাদের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ৪.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার।
এদিকে, ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে এই ভূমিকম্পের একই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে।
ভূমিকম্পের মাত্রা ছাড়াতে পারে ৮-এর বেশি, এরপর আফটার শক!
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল জানায়, ভূমিকম্পের সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ড। ভূমিকম্পটির মাত্রা : ৪.৯ (রিখটার স্কেল), গভীরতা: ১০৬.৮ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল আরও জানায়, প্রভাবিত অঞ্চল: মিয়ানমার, উত্তর পূর্ব ভারত, চট্টগ্রাম, ঢাকা বরিশাল ও সিলেট বিভাগ। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার শহর, উখিয়া, চকরিয়ার ও চট্টগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কম্পন খুব বেশি ছিল না এবং স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। অনেকেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। গভীর রাতের এই ঘটনায় এলাকায় কিছুটা আতঙ্ক তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভূমিকম্পটি নিয়ে অষ্টমবারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশে। শুরু হয়েছিল গত ২১ নভেম্বর শুক্রবার। সেদিন নরসিংদীতে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো দেশ। এরপর থেকে টানা মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েই চলেছে।
BN NEWS My WordPress Blog