Breaking News

বিবাহবিচ্ছেদ রুখতে আদালতের কঠোর নিয়ম,তালাক নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নতুন রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত রায়ে বলেছে, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ (এমএফএলও)-এর ৭ ধারা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের তালাকই ৯০ দিনের মধ্যে বাতিল করা সম্ভব।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে, এমএফএলও-এর ধারা ৭ সব ধরনের তালাকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য—তালাক-এ-বিদআত বা মৌখিকভাবে তিনবার ‘তালাক’ বলার ক্ষেত্রেও।

ধারা ৭(১) অনুসারে, স্বামী যখন ‘যে কোনো রূপে তালাক’ ঘোষণা করবেন, তখন তাঁর আইনগত দায়িত্ব হলো স্ত্রীকে লিখিত নোটিশ পাঠানো এবং সেটির একটি কপি ইউনিয়ন কাউন্সিল বা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেওয়া।

ধারা ৭(৩) অনুযায়ী, তালাক সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয় না। নোটিশ পৌঁছানোর দিন থেকে ৯০ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না—যদি না স্বামী এর আগেই সরাসরি বা পরোক্ষভাবে তালাকটি প্রত্যাহার করেন।

তিন সদস্যের বেঞ্চ রায়ে বলেন, শুধু মুখে তালাক উচ্চারণ করলেই তা কার্যকর হয়ে যায় না; ৯০ দিন পূর্ণ হওয়ার পরই তা কার্যকর হয়, যদি এর আগে তা বাতিল না করা হয়।

জাস্টিস মুহাম্মদ শফী সিদ্দিকীর লিখিত রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে—আইনটির উদ্দেশ্য হলো আকস্মিক বা আবেগী তালাক ঠেকানো এবং দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য সময় দেওয়া।

আদালত আরও স্পষ্ট করেছেন, যদি স্বামী স্ত্রীর কাছে তালাকের ক্ষমতা অর্পণ করে থাকেন, তাহলে স্ত্রীও একইভাবে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

এমএফএলও অনুযায়ী, স্বামী স্ত্রীর কাছে তালাকের অধিকার হস্তান্তর করলে স্ত্রী সেই অধিকার স্বামীর মতো সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং একই নিয়ম ও শর্ত তাঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

About Admin

Check Also

স্বামীসহ গৃহকর্মী আয়েশা ৩ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার ও তার স্বামী রাব্বির ৩ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *